বিক্রেতা চাইলেন ১০ হাজার, ব্যবসায়ী দিলেন এক লাখ

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এক ঘণ্টার পথ। এলাকাটির নাম জিলং। সেখানে সোনার দোকান রয়েছে ড্যারেন কাম্পের। প্রতিদিনের মতোই দোকানে বসে নিজের কাজ করছিলেন। এ সময় একটি সোনার খণ্ড নিয়ে আসেন এক ব্যক্তি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি দোকানে এসেই ড্যারেন কাম্পকে সোনার টুকরাটি দেখান। এরপর বলেন, ‘আপনি কি এই সোনার খণ্ডটি ১০ হাজার ডলারে (অস্ট্রেলিয়ান ডলার) কিনবেন?’

ড্যারেন সোনার খণ্ডটি পরীক্ষা করে দেখেন এবং অবাক হন। তিনি জানান, তাঁর ৪৩ বছরের কর্মজীবনে তিনি কখনো এত বড় সোনার খণ্ড দেখেননি। তিনি ওই লোকের ১০ হাজার ডলারে সোনার খণ্ডটি কেনার সহজ সুযোগটি নেননি। বরং তিনি ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি আমাকে এই সোনার খণ্ডটি এক লাখ ডলারে দেবেন?’

শখের বশে খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে পেলেন আড়াই কেজি সোনা

তখন সোনার খণ্ড নিয়ে আসা ব্যক্তিটি এক লাখ ডলার দাম শুনে অবাক হয়ে যান। তিনি জানান, এই সোনার টুকরাটি তাঁর খুঁজে পাওয়া সোনার খণ্ডের অর্ধেক মাত্র। তাঁর কাছে এমন আরও একটি সোনার খণ্ড রয়েছে। এক লাখ ডলারের বিনিময়ে তাঁর কাছ থেকে সোনার খণ্ডটি কিনে নেন ব্যবসায়ী ড্যারেন কাম্প। ৪ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই সোনার শিলাটিতে ৮৩ আউন্স অর্থাৎ প্রায় ২ দশমিক ৬ কেজি সোনা রয়েছে। এই সোনার শিলাটির প্রকৃত দাম ২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

দোকানে সোনার খণ্ড নিয়ে আসা ওই ব্যক্তি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া গোল্ড ফিল্ডে সোনার শিলাটি খুঁজে পান। দামি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ভিক্টোরিয়ার গোল্ড ফিল্ডের একটি নির্দিষ্ট স্থানে আঘাত করার পরে এই সোনার শিলাটির সন্ধান পান তিনি।

ড্যারেন কাম্প বলেন, ‘অনেক লোক নকল সোনা এবং সোনার মতো দেখতে কিন্তু সোনা নয়, এমন অনেক শিলাখণ্ড নিয়ে আসেন। কিন্তু এই লোক সোনার টুকরাটি নিয়ে আসার পরে আমি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। এমন সোনার শিলা একবারই পাওয়া যায়।’

অনুমান করা হয়, এই ধরনের সোনার শিলা দুর্লভ। এমন সোনার খণ্ড খুব বেশি পাওয়া যায় না। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে অস্ট্রেলিয়াতেই সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত আছে। সূত্র: বিবিসি

Leave a Comment